আবদুল কাদির :
দারিদ্রতা আর অসুস্থতায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন মোঃ ফক্কর উদ্দিন( ৫০) বর্তমানে তার জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থা।তারপরেও স্ত্রী-সন্তানের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাতে সে দিন মজুরের কাজ করতো, ১৫ বছর আগে মেরুদন্ডে অসুস্থ হয়ে যায় তখন থেকে তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ বন্ধ হয়ে যায় তার সংসার নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি স্ত্রী আর দুটি ছেলে সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করছেন এমনকি নিজের যা অর্থ সম্পদ ছিল নিজের চিকিৎসায় বিক্রি করে ব্যয় করেছেন তিনি বর্তমানে ৩ শতাংশ জায়গাতেই বসবাস তার।আদরের সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে যাতনাকে ভুলে কাজ করে গেছেন প্রতিনিয়তই।
তবে জীবন সংগ্রামে সবাই টিকে থাকতে পারেনা।কোন এক সময় থামতে হয় প্রত্যেককেই। হয়তো সে নিয়মেই থামতে হয়েছে ফক্কর উদ্দিনের ।বর্তমানে অভাবের কারণে সে হারিয়েছে কর্মক্ষমতা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির এমন অবস্থার কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী-সন্তান। অপরদিকে দিনে দিনে মেরামতের অভাবে ভেঙ্গে পরছে তাদের একমাত্র বসত ঘরটি।ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগড় ইউনিয়নের রামজীবন গ্রামের মৃত সাধুত আলীর পুত্র ২টি ছেলে সন্তানের জনক অসুস্থ দিনমজুর মোঃ ফক্কর উদ্দিন (৫০) বাড়িতে গেলে দেখা হয় তার সাথে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,জরাজীর্ণ একটি জুপরী ঘরে বসবাস।সেখানেই দেখা মিলে।দীর্ঘদিন হতে মেরামত না করায় ঘরটির বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। যে কোন সময় তা ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বর্তমানে ঘরটির যে জরাজীর্ণ অবস্হা তাতে এটি মেরামতেরও সুযোগ নেই।মোঃ ফক্কর উদ্দিন বলেন,আমার আমি অন্যের বাড়ীতে কাজ করে যা আয় করি তা দিয়েই কোনমতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাইতাম কিন্তু ১৫ বছর ধরে আমি ঘর হতে বাহির হইতে পারিনা কেউ আমাকে কোন ধরনের সাহায্য করে না, ফক্কর উদ্দিনের স্ত্রী জানান কোন উপায় না থাকায় স্বামী আর বাচ্চাদের নিয়ে এই ভাঙ্গাঘরে বাস করছি।বর্তমানে একটু বৃষ্টি হলেই সাড়া ঘর পানিতে ভিজে একাকার হয়ে যায়।
একটু বাতাস হলেই ঘরের নিচে চাপা পরার ভয়ে স্ত্রী আর বাচ্চাদের নিয়ে গাছ তলায় আশ্রয় নিতে হয়।কারো সাহায্য সহযোগীতা ছাড়া আমার পক্ষে ঘর ভালো করা সম্ভব নয়।শুনেছি যাদের ঘর নাই সরকার তাদের ঘর তুলে দিচ্ছে। আমাদেরকেও যদি সরকার ঘর দিত তাহলে আমি স্ত্রী আর মাসুম বাচ্চাদের নিয় মাথা গোঁজার ঠাই পেতাম।এলাকাবাসীরা জানান,পৈত্রিক সুত্রে ফক্কর উদ্দিন এই বসতভিটা বর্তমানে তার বাড়ীভিটা ছাড়া আর কোন কিছুই নেই।আর তার শরীরের যে অবস্হা তার পক্ষে নতুন করে ঘর তোলা কোনভাবেই সম্ভব না।এমন পরিস্থিতিতে সরকার যদি ঘর তুলে দেয়ার বরাদ্দ দিয়ে থাকে তাহলে সে তা পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করেন তারা।