বিনোদন ডেস্ক ,
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল মৃত্যুর পরই মঙ্গলবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন প্রখ্যাত পরিচালক অভিনব কাশ্যপ। তিনি দাবি করেন, সুপারস্টার সালমান খানের পরিবার তার কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছে। অভিনবের অভিযোগের আঙ্গুল ছিল বিশেষ করে সালমানের ছোট দুই ভাই আরবাজ খান ও সোহেল খানের বিরুদ্ধে। এবার একই অভিযোগ তুললেন প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানের মা রাবিয়া আমিন।
২০১৩ সালে সুশান্তের মতোই গলায় ফাঁস লাগিয়ে মাত্র ২৫ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেছিলেনজিয়া খান। এর জন্য অভিযোগ উঠেছিল অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। কারণ, সেসময় প্রেমিক সূরজের সন্তান ছিল জিয়ার গর্ভে। সূরজ ক্রমাগত গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতেন জিয়াকে। যা অভিনেত্রী মানতে পারেননি। এছাড়া নিত্যদিন মারধর, অত্যাচার, অকথ্য গালিগালাজ তো ছিলই। এমনও রটেছিল, অপটু ধাত্রী দিয়ে জোর করে জিয়ার গর্ভপাত করিয়ে ভ্রুণ বাথরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিলেন সূরজ। যার থেকে তীব্র রক্তক্ষরণ হয়েছিল জিয়ার। শেষে বন্ধ ঘরে নিজেকে শেষ করে দেন অভিনেত্রী।
মেয়ে জিয়ার মতোই গলায় ফাঁস লাগিয়ে বুকে কষ্ট নিয়ে চলে গেছেন সুশান্তও। নায়কের মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে মেয়ে হারানোর শোকে নতুন করে উথালপাথাল রাবিয়া আমিন মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এ শোক সহ্য করার নয়। এ অভাব মেটার নয়। আমি ভুক্তভোগী। তাই সুশান্তের পরিবারের সবার মনে কী ঝড় চলছে তা বুঝতে পারছি। কী ভাষায় সমবেদনা জানাবো, বুঝতে পারছি না।’
এর পরই রাবিয়া আমিন অভিযোগের আঙুল তোলেন সালমান খান এবং তার পরিবারের দিকে। বলেন, ‘সিবিআই থেকে আমাকে ডেকে পাঠিয়ে বলেছিল, শিগগির আসুন। বিশাল বড় সূত্র মিলেছে। কিন্তু খবর পেয়ে ছুটে যেতেই গোয়েন্দা সংস্থার গলায় ভিন্ন সুর। সালমান খান নাকি তদন্ত বন্ধের চাপ দিচ্ছেন। বলেছেন, তার ‘সাথিয়া’ ছবির নায়ক সূরজ। এই ছবির পেছনে তিনি প্রচুর টাকা ঢেলেছেন। এখন কোনো ঝামেলা হলে তিনি লোকসানের মুখে পড়বেন। সিবিআই যেন তদন্ত গুটিয়ে নেয়। প্রয়োজনে যা লাগবে তিনি দেবেন।’
রাবিয়া আমিনের অভিযোগ, সূরজকে প্রশ্রয় দিতেন সালমান খান। তার জন্যই জিয়ার জীবন নষ্ট করার সাহস পেয়েছিল সূরজ। এমনকী, ন্যায় বিচার পেতেও বাধা দিয়েছেন সালমান। তাই জিয়ার শেষ হওয়ার পেছনে সালমানের ভূমিকাও কম ছিল না। রাবিয়ার এই মন্তব্য আবার যেন ঘি ঢালল সুশান্তের অপমৃত্যুর আগুনে। যদিও সুশান্তের জীবনে কোনো কালো ছায়া ফেলেনি সালমান বা তার পরিবার। এমন কোনোও গুঞ্জনও ওঠেনি।