মো: নাজমুল হুদা মানিক ,
ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে আওয়ামিলীগ নেতার বসতবাড়ি সহ ৬টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলা সদরের বোরর চর ইউনিয়নের মৃধাপাড়া এলাকায় বোররচর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ যুগ্ম আহবায়ক হামিদুলের বাড়ী ও একই এলাকার ৬টি পরিবার আওয়ামীলীগ সমর্থক সুরুজ্জামান, রুহুল আমীন, শাহজাহান, আব্দুল হালিম এর বাড়ী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে।
এতে ঘরবাড়ী ছাড়া হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে শিশু বাচ্ছাসহ দেড় শতাদিক মানুষ। নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরী ভিত্তিতে ব্রম্মপুত্র নদের মাঝ দিয়ে খনন করা প্রয়োজন বলে দাবী করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবী জরুরী ভিত্তিতে নদের মাঝের অংশ খনন করা হলে পনির খর শ্রোত যাবে নদের মাঝ দিয়ে। পাড়ের অংশে খরশ্রোত না থাকলে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেতে পারে এলাকার অনেকেই।
তড়িৎ পদক্ষেপ নেয়ার প্রত্যাশায় বোররচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ডা: মো: হেলাল উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মো: আব্দুল আজিজ দারস্থ হন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের। চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যন্নোয়নের পরিকল্পনা নিয়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অবহেলিত ৩নং বোররচর ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।
২৩ জুন দুপুরে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন কালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত জাহান মুকুল, দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু সাঈদ দীন ইসলাম ফখরুল, আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম আলমগীর, শ্রমিকলীগ নেতা মো: রাকিবুল ইসলাম শাহিন, বোররচর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান ময়মনসিংহ জেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আমানুল ইসলাম জলিল, জেলা যুবলীগ নেতা গোলাম মেহেদী হাসান, ছাত্রলীগ নেতা মো: হুমায়ুন কবির, আমিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বোররচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ডাঃ হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুল আজিজ, আওয়ামীলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন, সিদ্দিক খলিফা, খায়রুল, দেলোয়ার হোসেন মেম্বার, সুবান মেম্বার, হাবিব মাষ্টার, আইয়ুব আলী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের কাছে এলাকা বাসি দাবি করেন, ব্রম্মপুত্র নদ খনন অবস্থায় অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি একটি ড্রেজার দিয়ে নদের মাঝখানে খনন করা হয়, তাহলে আমাদের বাড়ি ঘর রক্ষা করতে পারবো, কারণ পানির গতিপথ নদের মাঝখানে চলে যাবে, তখন আর নদের তীরে ভাঙ্গবে না, আর এটি না হলে হামিদুলের মত আরো গরীব অসহায় মানুষের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি।
স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল আজিজ হাজী বলেন, এই চর এলাকায় কোন রাস্তা নেই, রাস্তার সমস্যার কারণে এলাকার মানুষ কৃষি ফসলাদি পরিবহনের অভাবে সঠিক দামে বিক্রি করতে পারছে না, পাশাপাশি ছেলে মেয়েরা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যেতে পারছে না, তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি, এই এলাকায় চলাচলের রাস্তার ব্যাবস্থা করে দিবেন, তাহলে চরাঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। এলাকাবাসী জানায়, আওয়ামীলীগ নেতা সুরুজ্জামান এর বাড়ীর পাশাপাশি হালিম ডাক্তার, আন্তু, চাঁন মাহমুদ, মোন্তাজ আলী, রুহুল আমীন, আশরাফুল ইসলাম, কলিম উদ্দিন, আব্দুল মজিদ, বাদশা, আবুল, আনেছ আলীর বাড়ী ভাঙ্গনের আশঙ্কায় রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, চর এলাকায় আইন শৃংখলা বজায় রাখার জন্য একটা পুলিশ ফাঁড়ি খুবই জরুরী হয়েছে পড়েছে। বোররচর, পরানগঞ্জ, অষ্টাধর ও বিদ্যাগঞ্জ তথা কুষ্টিয়া ইউনিয়নের সমন্বয়ে পুলিশ ফাঁড়ি করা প্রয়োজন। তারা জানায়, বোররচর ইউনিয়নের বাগেরকান্দা এলাকাটি সবজির জন্য স্বর্নগ্রাম হিসাবে পরিচিত। বোররচরের সবজি সারাদেশে যায়। অথচ বোররচর হলো দেশের সবচেয়ে অবহেলিত একটি ইউনিয়ন। এলাকাবাসী আরো জানায়, হাজার হাজার মানুষের চলাচলের প্রয়োজনে বোররচর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম থেকে মধুমারী ঘুদারাঘাট পর্যন্ত ৫কিলোমিটার রাস্তা। বোররচর ইউনিয়নে গুচ্ছগ্রাম থেকে মৃর্ধাপাড়া ফেরীঘাট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তা।
হাজিবাড়ী গোরস্থান মসজিদ থেকে (বাঘেরকান্দা পশ্চিম ) কাচারী বাজার পর্যন্ত রাস্তা। পান্ডাপাড়া মোড় থেকে পয়েস্তি বাজার হয়ে মৃর্ধাপাড়া খেয়াঘাট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা ও কুষ্টিয়াপাড়া খাইরুল কবীরের বাড়ীর দক্ষিনে মৃতনদীর উপর কালভার্ট জরুরী প্রয়োজন। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিক করছে।
এগিয়ে যাচ্ছে দেশ আর এমন সময় বোররচরে মানুষের চলাচলের রাস্তা নেই, এটা হতে পারেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে বোরররচরবাসীর দাবী তুলে ধরে এলাকাবাসীর দাবী পুরনের বিষয়ে সকল প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বোররচরকে সবজিচাষের জন্য সদরের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।