ময়মনসিংহ ২৮.১৭°সে ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ: সহযোগি আটক


শাহরিয়ার শাকির শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

শেরপুরের শ্রীবরদীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগি আটক হয়েছে। ১৩ জুলাই সকালে উপজেলার রাণীশিমূল ইউনিয়নের বালিজুরী অফিস পাড়ার পাশে পাহাড়িয়া টিলায় ওই ঘটনা ঘটে। আটক সহযোগি তাতিহাটী ইউনিয়নের বকচর গ্রামের আ: করিমের ছেলে জুয়েল (২২)। ধর্ষণকারীর পিতা, স্বজন ও স্থানীয় কতিপয় লোক এ ঘটনাটি ধামাচাপা পায়তার করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই স্ক’ল ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন জানান, বকচর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডার ছেলে জোনাইদ এর সাথে প্রায় এক মাস আগে মোবাইল ফোনে পরিচয হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে চলে মনদেয়া নেয়া।

এর পর জোনাইদ একই গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি জুয়েলকে নিয়ে কয়েকদিন ওই ছাত্রীর বাড়ির কাছে কাঠ বাগানে দেখা করে। গত ১৩ জুলাই সোমবার সকাল ১১ টার দিকে জুয়েল এর মোবাইলে ফোন দিয়ে বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে আসে। পরে জোনইাদ ও জুয়েল অটোরিক্সায় বেড়ানোর কথা বলে তাকে বালিজুরি অফিস পাড়ার পাহাড়ি টিলার নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় বিয়ের কথা বলে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিলে সে আত্মচিৎকার দেয়। এ সময় আশপাশের লোকজন এলে জোনাইদ ও তার অপর সহযোগিরা পালিয়ে যায়। তবে জুয়েলকে আটক করে স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় রাতেই গ্রাম্য শালিস হয়। পরে আটক জুয়েল মিয়াকে ভায়াডাঙ্গা পশ্চিম বাজারে একটি মাদরাসায় আটক রাখে ভিকটিমে স্বজন ও স্থানীয়রা। মঙ্গলবার ধর্ষিতা ছাত্রীসহ আটক জুয়েল ওই মাদরাসায় আটক রয়েছে। এ ব্যাপারে রানীশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :

 
   
২০২০ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত