ইশতিয়াক আহমেদ ইসহাক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা। এই শিক্ষার্থীরা টিউশনি বা খন্ডকালীন চাকরি করে নিজেদের খরচ চালায়। অনেক শিক্ষার্থীকে আবার বহন করতে হয় পরিবারের খরচও। করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। বন্ধ হয়েছে তাদের টিউশনি ও খণ্ডকালীন চাকরি। এমতাবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছে এই শিক্ষার্থীরা। রুজি রোজগারের পথ হারিয়ে এখন নিম্নবিত্ত ছাড়াও মধ্যবিত্তরাও রয়েছে সমস্যায়। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকেই নিবারণ করতে পারছে না ক্ষুধা। ক্ষুধার জ্বালাই যে সবচেয়ে বড় জ্বালা তা বুঝিয়েছেন রফিক আজাদ তার ‘ভাত দে হারামজাদা’ কবিতার মাধ্যমে।
যেখানে তিনি লিখেছেন, ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো। এখন কেউ কেউ মুখ ফুটিয়ে নিজের ক্ষুধার কথা বলতে পারছে না। নিজ বাড়ি, শহরের মেস কিংবা ভাড়া বাসার চার দেয়ালে শিক্ষার্থীরা যখন অসহায় জীবনযাপন করছে তখন তাদের দিকে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা। ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষকদের ব্যক্তিগত ও কল্যাণ ফান্ড থেকে করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পরা দরিদ্র ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম খান, সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী ও অত্র কলেজের শিক্ষার্থীরা।