ময়মনসিংহ ২৯.৫৩°সে ৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিজ অর্থায়নে রাস্তা মেরামত করে দিলেন আবুল খায়ের


ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের ব্রিজ সংলগ্ন ছাগল বাজারের রাস্তাটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২য় দফায় মেরামত করে দিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল খায়ের। এর আগেও তিনি এই রাস্তাটি মেরামত করে দিয়েছিলেন। ঈশ্বরগঞ্জ ১টি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা। শহরের অন্যান্য রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেও উন্নয়ন হয়নি এই রাস্তাটির। গ্রাম থেকে ধান পাট নিয়ে বাজারে যেতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী।

হাসপাতালে গেলেও প্রয়োজন এই রাস্তার। বেশ কয়েক বছর যাবৎ এই রাস্তাটি নিয়ে বিপাকে পড়েছিলো স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। বৃষ্টি হলেই পানি জমে কাচাঁ রাস্তার মত কাদাঁয় পরিণত হয় রাস্তাটি। ফলে অন্য রাস্তা দিয়ে অনেকটা ঘুরেই চলাচল করতে হয় মানুষের। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার এ রাস্তাটিতে বালি ফেলা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন যেতেই যেই-সেই অবস্থা। স্থানীয়রা বারবার পৌর মেয়রকে বিষয়টি অবগত করলে টেন্ডার হয়েছে হয়েছে বলেই পার করে দিচ্ছেন তিনি বছরকে বছর। টানা ২মাস লকডাউনের পর যখন দোকানপাট খুলতে শুরু হয়েছে, গ্রাম থেকে বেচা কেনার জন্য মানুষ বাজারে আসতে শুরু করেছে তখনি আগের মত সেই ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে তাদের।

এমন করুণ অবস্থা দেখে স্থানীয় সাংবাদিক একটি ভিডিও ফুটেজ তার ফেজবুক ওয়ালে পোষ্ট করে। ভিডিওটি চোখে পরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল খায়েরের। তিনি ভিডিওটি দেখে গত রবিবার রাস্তাটি মেরামত করে দেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম সোহাগ জানান, বেশ কয়েক বছর যাবৎ বর্ষাকালে এই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। ২মাস লকডাউনের পর দোকান খোলার অনুমতি পেলেও রাস্তাটির কারনে ব্যবসা করার সুযোগ ছিলোনা। কোন গাড়ি রাস্তা দিয়ে গেলে কাদাঁ-পানি এসে ঢুকতো দোকানে। যুবলীগ সভাপতি খায়ের ভাই রাস্তাটি মেরামত করে দিয়েছেন এখন অন্তত শান্তিতে দোকানে বসা যাবে।

ঈশ্বরগঞ্জ পাটবাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক সওদাগর বলেন, রাস্তাটি নতুন করে করা অতিব জরুরি। আমাদের ব্যাবসায়ীদের ধানপাট আনা নেয়া করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আমাদের কথা ভেবে নিজ উদ্যোগে আবুল খায়ের এই রাস্তাটি মেরামত করে দিয়েছে। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, ক’দিন আগে ফেসবুকে একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে কষ্ট লাগলো। প্রথম শ্রেনীর পৌরসভায় মানুষ এতো কষ্ট করে চলাফেরা করছে। তাই আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব মেরামত করে দিলাম।

আপনার মতামত লিখুন :

 
   
২০২০ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত