শাহরিয়ার শাকির শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউপির চরশিমুলচুড়া, বলদিয়াপাড়া ও লক্ষীডাংগী গ্রামে প্রচুর পরিমাণে বেগুন উৎপাদন হয়। প্রচুর পরিমাণ বেগুন উৎপাদনের জন্য ওই তিনটি গ্রাম বেগুন গ্রাম নামেই বেশি পরিচিত। এসব গ্রামের চাষিরা প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার বেগুন পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু এবারের বন্যার থাবা স্তব্ধ করে দিয়েছে তাদের জীবন ও জীবিকা। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার ব্রহ্মপুত্রসহ চারটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে জেলার চারটি উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে। এরমধ্যে শ্রীবরদীর ভেলুয়া ও খড়িয়াকাজীরচর ইউপির ১৫টি গ্রাম রয়েছে। চরশিমুলচুড়া, বলদিয়াপাড়া ও লক্ষীডাংগী গ্রামের কৃষকেরা জানান, এসব গ্রামের দুই শতাধিক কৃষক বেগুন চাষ করে সংসার চালান। এবার বেগুন বিক্রি করে ঈদের কেনা কাটা করার প্রস্তুতি ছিল তাদের। কিন্তু বন্যার পানিতে ডুবে গেছে তাদের সব বেগুন ক্ষেত। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, বন্যায় ২০০ হেক্টর আবাদি জমি ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে ১০ হেক্টর বেগুন ক্ষেত রয়েছে। ইউএনও নিলুফা আক্তার জানান, ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।