নাসির উদ্দিন, নকলা (শেরপুর):
শেরপুরের নকলা উপজেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ফারুক কোভিট-১৯ (করোনা ভাইরাস)’র সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে নিজ বাসায় ফিরেছেন। ৩ জুন বুধবার নকলা উপজেলা নকলা হাসপাতালে ছাড়পত্র প্রদানের মাধ্যমে করোনা জয়ী ফারুককে হোম আইসোলেশন থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মজিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত ছাড় পত্র ফারুকের হাতে তুলে দেন অন্য এক করোনা জয়ী চিকিৎসক নকলা হাসপাতালের আরএমও ডা. সৌরভ কুমার সরকার।
ছাড় পত্র প্রদানের পরে নবীন সাংবাদিক মোফাজ্জল হোসেনসহ অনেকে করোনা জয়ী ফারুককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় নকলা হাসপাতালের আরএমও ডা. সৌরভ কুমার সরকার, নকলা হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে কর্মরত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আবু কাউসার বিদ্যুত, সাংবাদিক মোফাজ্জল হোসেনসহ নকলা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও স্থানীয় সাংবাদিকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তথ্য মতে, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ২ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সন্দেহে উপজেলার ৪৪৫ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল রাতে পাওয়া করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী উপজেলায় ১১ জনের শরীরে কোভিট-১৯ (করোনা ভাইরাস) এর উপস্থিতি সনাক্ত হয়। এর মধ্যে ফারুকসহ ১০ জন সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে নিজ বাসা-বাড়িতে ফিরে গেছেন।
বাকী এক জন আইসোলেশনে সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। নকলা হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আবু কাউসার বিদ্যুত জানান, উপজেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ফারুক এর শরীরে ২২ মে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। পরে তাকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ২৯ মে প্রথম ফলোআপ ও ২ জুন দ্বিতীয় বারের মতো তার শরীরে করোনা উপস্থিতির ফলোআপ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে পর পর ২ বারই নিগেটিভ আসায় তাকে আইসোলেশন থেকে ছাড় পত্র দেওয়া হয়। করোনা জয়ী ফারুক সকলের উদ্দেশ্যে বলেন- ‘নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) থেকে সুরক্ষায় আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
এই ভাইরাস আক্রমণ করার পরে সচেতনতার অভাব না হলে আইসোলেশনে একাকিত্ব ছাড়া তেমন কোন সমস্যা হয়না। সচেতনতা অভলম্বনের পাশাপাশি আইসোলেশনের সকল নিয়ম যথাযথ ভাবে মেনে চললে দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব; আমি এর উজ্জল প্রমাণ। করোনা ভাইরাস মুক্ত হয়ে আইসোলেশন থেকে ছাড় পত্র পাওয়া করোনা জয়ী ফারুক এভাবেই হাসি মুখে সকলকে জানান।