নিজস্ব প্রতিবেদক,
দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন আরও ৩০ জন। এই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮২৮ জন।
এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৮১১ জনে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯১ জন।
শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা অনলাইনে এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন ৮১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮২৮ জন। একে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৬০ হাজার ৩৯১। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৪৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৮০৪ জন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, দেশের ৫০টি পিসিআর ল্যাবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৪ হাজার ৬৪৫টি। এরমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৮টি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তিন লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫টি।
কিশোরগঞ্জে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে নতুন একটি ল্যাব যুক্ত হয়েছে। তবে কারিগরি কারণে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবটিতে নমুনা পরীক্ষা হয়নি বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ৪ জুন পর্যন্ত দেশে শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর ৭১ শতাংশ পুরুষ ও ২৯ শতাংশ নারী।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী। এর মধ্যে ১৭ জন হাসপাতালে, ১৩ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের ১১ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের, একজন রাজশাহী বিভাগের, একজন রংপুর বিভাগের এবং দুজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা।
এই ৩০ জনের মধ্যে এক জনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া দুজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, সাতজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন নাসিমা সুলতানা।