আরিফ রববানীঃ
ঐতিহাসিক ৬দফা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসুচী পালন করেছে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামিলীগের নেতৃত্বে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে ৭জুন সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড.জহিরুল হক খোকাও সাধারন সম্পাদক এড মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এর নেতৃত্বে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন আওয়ামিলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ৭ই জুনের এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কর্মসুচীতে অংশ গ্রহন করেন ময়মনসিংহ জেলা
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এম এ কুদ্দুছ, শওকত জাহান মুকুল, কাজী জাহান শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ আলী আকন্দ,দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু সাঈদ দ্বীন ইসলাম ফখরুল, যুব বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রেজাউল হাসান বাবু,
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা,মমিনুল ইসলাম জিন্নাহ, সদস্য এমদাদুহক সেলিম, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহ শওকত উসমান লিটন,বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি শিবলী সাদিক খানসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামিলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।
উল্ল্যেখ্য-১৯৬৬সালের ৭ই জনু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে এই ৬দফা দাবি ঘোষণা করেন। ৬দফার মধ্যে ছিলো-প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সকল ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দুটি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর ও শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপনের দাবি জানানো হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষিত ছয় দফা দাবির মুখে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন।
১৯৬৬সালের ৭ই জুনের এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন।