নিজস্ব প্রতিবেদক,
মহামারি করোনায় মারা যাওয়া মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা আহসানউল্লাহ হাসানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। সোমবার বিকালে তাকে মিরপুর ১১নম্বরের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রবিবার রাতে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরিবারের অভিযোগ, অনেক চেষ্টায়ও রাজধানীর কোনো হাসপাতালে আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন পাননি ঢাকার একসময়ের প্রভাবশালী এই নেতা।
দাফনের আগে মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর মিরপুর ১১ নম্বর কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
দাফনের সময়ে প্রয়াত নেতার স্ত্রী রিনা হাসান, বড় ছেলে সারোয়ার আল হাসানসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, মহানগর উত্তরের নেতা এজিএম শামসুল ইসলাম, এম কফিলউদ্দিন, আক্তার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, বুলবুল আহমেদ মল্লিক, আবদুল আউয়ালসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপস্থিত থেকে তাদের নেতাকে বিদায় জানান।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। আহসানউল্লাহ হাসানের মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান অবিভক্ত সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ বছর কাউন্সিলর ছিলেন। ডেপুটি মেয়রও ছিলেন। এলাকায় তার ব্যাপক প্রভাব ছিল। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক যোগাযোগও ভালো ছিল। অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক জীবনে অনেক মামলার আসামি হতে হয়েছে তাকে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনভুক্ত পল্লবী থানার ২, ৩, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপনগর থানার আংশিক এলাকা (৭ নম্বর ওয়ার্ডের অংশবিশেষ) নিয়ে ঢাকা-১৬ আসনটি গঠিত। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন আহসানউল্লাহ হাসান। যদিও আওয়ামী লীগের আরেক প্রভাবশালী নেতার কাছে হেরে যান তিনি।